৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:সোমবার, ২৮ অক্টো ২০২৪ ০৩:১০
দেড় যুগ আগে রাজধানীর পল্টনসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তাদের ক্যাডারদের লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার বিচারের দাব জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা দিয়ে সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল।
এর নির্দেশদাতা দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। তাদের অপরাধের কারণেই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়। একজন রাষ্ট্রপ্রধানের এভাবে পালিয়ে যাওয়ার নজির বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই।
২৮ অক্টোবর পল্টনসহ দেশে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এর বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে।
‘২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সোমবার বিকেলে খুলনা মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবুল কালাম আজাদ এ কথা বলেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও খুলনা মহানগর শাখার আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মাস্টার শফিকুল আলম এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা মুহা. এমরান হুসাইন।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর শাখার নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি মো. আরাফাত হোসেন মিলন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী
সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম ফারাজী। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল করিম। এসময় টাইফুন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা শহীদী গান পরিবেশন করেন। দোয়া পরিচালনা করেন মহানগর শাখার কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাওলানা আ. ন. ম. আব্দুল কুদ্দুস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, খুনি হাসিনার নির্দেশে সেদিন পল্টন হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। তাদের ওই খুনের বিচার এতদিনেও হয়নি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল, চাঁদাবাজের দল, দখলদার দল, গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। সুতরাং বাংলাদেশের জনগণ আর এদেশে আওয়ামী লীগকে স্থান দেবে না।
মাওলানা এমরান হুসাইন বলেন, জামায়াতের জাতীয় নেতাদের হত্যার জন্যই আওয়ামী লীগ ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা নিয়ে পল্টনে নেমেছিল। বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা একাধিকবার প্রমাণ করেছেন যে, তারা খুনি, সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী দল।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, শুধু ছাত্রলীগকে নয়, গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের হাতে যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১