‘শেখ হাসিনার মাথা পালিয়ে গেলেও বডি রয়েছে দেশে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টো ২০২৪ ০৩:১০

‘শেখ হাসিনার মাথা পালিয়ে গেলেও বডি রয়েছে দেশে’

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) খন্দকার মাশুকুর রহমান বলেছেন, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। শেখ হাসিনার মাথা পালিয়ে গেলেও বডি রয়েছে এই দেশে। তার সেই সব সাঙ্গপাঙ্গরা দেশে এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তা পুরান বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় কৃষক দলের আয়োজনে খুনি হাসিনার ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মাশুকুর রহমান বলেন, আমাদের দলে একটা বেঈমান ছিলেন। যার নাম শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। এই উচ্ছিষ্টভোগী নেতা বিএনপির সাথে বেঈমানি করে রাতের আঁধারে কিংস পার্টি খুলে শেখ হাসিনার সাথে হাত মিলিয়ে ২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেন।

শাহ জাফর ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) আসনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন- অভিযোগ করে খন্দকার মাশুকুর রহমান বলেন, এই বেঈমান নেতার ফাঁদে কোনো বিএনপি নেতা কর্মী পা দিবেননা।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে। এমপি নির্বাচনে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিএনপি নেতা মাশুকুর রহমান আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার শাসনামলে বিচার করেছেন সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে। ওই একই ট্রাইব্যুনালে এখন সত্য-সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করা হবে। যা পৃথিবীর সবাই জানবে। আশা করি শেখ হাসিনার ফাঁসি হবে। কারণ দেশের শিশুরাও এই খুনি হাসিনার ফাঁসি চায়।

বোয়ালমারী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নয়াব ইবনে ইউসুফ, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফএম কাইয়ুম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।