খাল-বিল ভরাট করে শিল্পায়ন বন্ধ করতে হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার, ০৮ নভে ২০২৪ ০২:১১

খাল-বিল ভরাট করে শিল্পায়ন বন্ধ করতে হবে

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেছেন, খাল-বিল ভরাট করে শিল্পায়ন বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে পৃথিবীকে পরিকল্পিত ও মানুষের বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এ আয়োজন করা হয়।

ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের কোনো পরিকল্পনা তৈরি করা হয়নি এখন পর্যন্ত। কিন্তু আমরা চাই পুরো বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা, নাগরিক এলাকায় নাগরিক সুবিধা দেওয়া ও খাল-বিল ভরাট করে শিল্পায়ন বন্ধ করা। পুরো বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা, নাগরিক এলাকায় নাগরিক সুবিধা দেওয়া ও খাল-বিল ভরাট করে শিল্পায়ন বন্ধ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভৌত পরিকল্পনা করার কথা হলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি এখন পর্যন্ত। পরিকল্পিত দেশ তৈরির জন্য স্থানিক কাঠামো পরিকল্পনা দরকার। পরিকল্পনাবিদদের শহর থেকে নগর সব জায়গাতেই অন্তর্ভুক্ত থাকা দরকার।

বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আসিফ উজ জামান খান বলেন, উন্নয়ন শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক না করে সুষমভাবে করতে হলে আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

বিআইপির সাবেক সহ সভাপতি ড. মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় দেখা যাচ্ছে, সেখানে নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে পরিকল্পনাবিদদের যথাযথ কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে আমি আশা করি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পরিবেশকর্মী শরিফ জামিল বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য পদ ফাঁকা আছে, যেখানে পরিকল্পনাবিদদের নিয়োগ দেওয়া অতি জরুরি। সঠিক পরিকল্পনার অভাব দেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আমি মনে করি।

ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারি বলেন, নগর পরিকল্পনার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিকল্পনায়ও পরিকল্পনাবিদদের সুযোগ দিতে হবে। নগরকেন্দ্রিক পরিকল্পনার পাশাপাশি সারা দেশের জন্যও স্থানিক পরিকল্পনা করতে হবে।