রহমানের বিচ্ছেদের পর সহকর্মী মোহিনীর ডিভোর্স, পরকীয়ার গুঞ্জন!

প্রকাশিত:বুধবার, ২০ নভে ২০২৪ ০৯:১১

রহমানের বিচ্ছেদের পর সহকর্মী মোহিনীর ডিভোর্স, পরকীয়ার গুঞ্জন!

অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী-সুরকার এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানুর বিচ্ছেদের খবরে হতবাক তার অনুরাগীরা। দীর্ঘ ২৯ বছরের সংসারের পর একে-অপরকে ডিভোর্স দিয়েছেন তারা।

আর এই বিচ্ছেদের নেপথ্যে নাম উঠে এসেছে এ আর রহমানের সহকর্মী মোহিনী দে-র। ধারণা করা হচ্ছে, মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকতে পারে এ আর রহমানের, আর এ কারণেই বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন খ্যাতিমান এই শিল্পী। গুঞ্জনটা তখনই চাউর হয়, যখন এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার পরই ডিভোর্সের পথে পা বাড়ান সহশিল্পী মোহিনী।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ভারতের সংগীতমহলে এখন চলছে এ আর রহমানের পরকীয়ার গুঞ্জন। যার সূত্রপাত, রহমানেরই টিমের সহকর্মী তথা গিটার বাদক মোহিনী দে-র এক পোস্টে। যেখানে মোহিনী স্পষ্ট লিখেছেন, রহমানের মতো তিনিই তার স্বামী মার্কের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানছেন।

সামাজিক মাধ্যমে সেই পোস্টে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা স্পষ্টই জানান মোহিনী। পোস্টে লেখেন, ‘হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত। দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব। এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।’

রহমানের টিমের এই শিল্পীর পোস্ট দেখে রহমান ও মোহিনীর পরকীয়ার সম্ভাবনা দেখছে নেটিজেনরা।

২৯ বছরের মোহিনী দে কলকাতার মেয়ে। রহমানের সঙ্গে দেশে-বিদেশে প্রায় ৪০ টি শোয়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নিজের অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন। শোনা যায়, রহমানের খুবই পছন্দের শিল্পী তিনি।

অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাদিজা, রহমান ও আমিন নামে তিন সন্তান রয়েছে তাদের। মেয়ে খাদিজার বিয়েও হয়ে গেছে।

বিয়ের এত বছর পর আচমকা কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের ত্রিশ বছরে অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর। কিন্তু তা হলো না।