৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:সোমবার, ২৫ নভে ২০২৪ ০৩:১১
চলতি ফুটবল মৌসুমে দল গঠন করেনি শেখ রাসেল ও শেখ জামাল। অনিশ্চিয়তা ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর অংশগ্রহণ নিয়েও। একেবারে শেষ দিনের শেষ মুহুর্তে খেলোয়াড় তালিকা জমা দিলেও মৌসুম জুড়ে খেলা নিয়ে এখনো রয়েছে শঙ্কা।
দুই সাবেক তারকা ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি ও মামুনুল ইসলামের উদ্যোগেই মূলত চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়দের নিবন্ধন হয়েছে। গত তিন মাস দলটি পরিচালনার জন্য অনেক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের কাছে গেলেও তেমন সহায়তা পাননি। আশিয়ান সিটি সম্প্রতি পাশে এসে দাঁড়ানোয় দিন তিনেক আগে অনুশীলন শুরু করেছে দলটি।
৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ক্লাবটি এত দিন যারা পরিচালনা করতেন তারা এখন আর নেই। সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাহের উল আলম চৌধুরি স্বপন চট্টগ্রাম আবাহনীর ক্লাবের ফুটবল দলের দেখাশোনা করছেন। তিনি বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘খেলোয়াড়দের আমরা এখনো কোনো অর্থ দিতে পারিনি। আবাসন, খাবারের একটি ব্যবস্থা হওয়ায় অনুশীলন শুরু হয়েছে। সামনে খেলা শুরু হলে প্রতিদিনই অনেক ব্যয়। এখনো চিন্তায় রয়েছি।’
বাংলাদেশের ফুটবলের সংস্কৃতিতে নিবন্ধনের সময় খেলোয়াড়রা ক্লাব ভেদে ৩০-৭০ শতাংশ অর্থ পান। বাকিটা মাসিক ভিত্তিতে পেয়ে থাকেন। চট্টগ্রাম আবাহনীতে নিবন্ধিত ফুটবলাররা এখনো কোনো অর্থই পাননি। ফুটবলারদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা এখনো করে যাচ্ছেন সাবেক তারকা ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি, ‘সাবেক ফুটবলার হিসেবে আমাদের ছোটভাইদের পরিবার এবং ভবিষ্যতের দিক চিন্তা করে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলাম। এখনো প্রাণান্ত চেষ্টা করছি ওদের কিছু দেয়ার জন্য।’
২৯ নভেম্বর শুক্রবার লিগের উদ্বোধনী দিনেই চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে নামবে চট্টগ্রাম আবাহনী। চলতি মৌসুম চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এত দিন দল পরিচালনা করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা এখনোই ভর করছে জাহিদ হাসান এমিলির মনে, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু করেছি। কত দিন টিকতে পারি সেই শঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে।’
চট্টগ্রাম আবাহনী জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের দিকেও তাকিয়ে, ‘কাজীর দেউড়িতে খাজা রিক্রিয়েশন ক্লাব তামিম ইকবালের বাবা ইকবালের খান জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে সেই ক্লাবই চট্টগ্রাম আবাহনী হয়েছে। তামিম চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্কট নিয়ে অবগত। আশা করি সে কার্যকর ভুমিকা রাখবে’ বলেন ক্লাবটির পরিচালক স্বপন।
চট্টগ্রাম আবাহনী মূলত সাবেক এমপি শামসুল হক চৌধুরি পরিচালনা করতেন। ২০১৫ সালে তরফদার রুহুল আমিনকে ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান করার পর থেকে ক্লাবটি আলোচনায় আসে। তিনি এক টানা দশ বছর দল পরিচালনা করেন। এই মৌসুমের শুরুতে তিনি আর অর্থ দেবেন না এমন অবস্থানে ছিলেন। তখন দল গঠনে অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। বাফুফে নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচনের সময় আবার ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ায় আবার ক্লাব থেকে দূরে আছেন।
চট্টগ্রাম আবাহনীর হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাইফুর রহমান মনি। বাফুফে সদস্য নির্বাচনে তিনি টাই করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এখলাসের সঙ্গে। ৩০ নভেম্বর দুই জনের মধ্যে পুনরায় নির্বাচন হবে। বাফুফে সদস্য নির্বাচিত হলে একটি দলের হেড কোচ থাকতে পারবেন কিনা সেই বিষয়টিও দেখার রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১