বিগত দিনের মতো যেন আর বিচার না হয় : ফারুক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ২৬ নভে ২০২৪ ১১:১১

বিগত দিনের মতো যেন আর বিচার না হয় : ফারুক

সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের রায় দেন ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এসএম জিয়াউর রহমানের আদালত। এ সময় জয়নুল আবদিন ফারুক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জয়নুল আবদিন ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হলো তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ স্বাধীন রায় হলো। বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। বিচারকদের এখন আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না। বিপ্লবী ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি আজকের রায়ে তা প্রমাণিত হলো।

তিনি আরও বলেন, আমি খালাস পেয়েছি। খালাস উৎসর্গ করলাম ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যারা গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত দিয়েছে তাদের। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। যে দলের হোক, যে মতের হোক বিচার বিভাগ যেন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন থাকুক। বিচার করার সাহসিকতা আজ দেখেছি। বিগত দিনের মতো যেন আর বিচার না হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জয়নুল আবদিন ফারুক নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত দুদকের পক্ষ থেকে তার পরিবারসহ সবার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। ৪৫ দিন সময় পেয়েও এর মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।

তার নিজের, স্ত্রী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ-সম্পত্তি দায়-দেনা আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিবরণ দাখিল না করায় ২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার নামে একটি মামলা করেন।

২০০১ সালের ১৭ জুন ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক ইমদাদুল হক। ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। পরে এ মামলা বাতিল চেয়ে ফারুক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করলে আদালত ২০১০ সালের ১ জুন রুল জারি করেন। পাশাপাশি মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলা চলবে মর্মে আদেশ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশও দেন আদালত। মামলা চলাকালে আদালত তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।