৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জুন, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪ ০১:০৬
নিউজ ডেস্ক: এক হাতে অস্ত্র, অন্য হাতে স্কার্ফ ঠিক করতে করতে উত্তর–পূর্ব সিরিয়ার বিস্তীর্ণ গমখেতগুলোর একটি পাহারা দিচ্ছিলেন ইয়াসমিন ইউসুফ। দেশটিতে রুটির জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব খেত গুরুত্বপূর্ণ এক উৎস।
শুধু ইয়াসমিন (৪২) নন, তাঁর মতো আরও অনেকেই স্বেচ্ছাসেবী, যাঁদের কেউ কেউ নারী, কাহতানিয়ার কাছে সিরিয়ার কুর্দি–নিয়ন্ত্রিত আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের শস্যখেত পাহারা দিচ্ছেন। তাঁদের এমন পাহারার লক্ষ্য, আগুন ও অগ্নিসংযোগকারীদের হাত থেকে ফসল রক্ষা করা।
ইয়াসমিন বলছিলেন, ‘কৃষকদের সাহায্য করা ও তাঁদের ফসলের সুরক্ষা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’ তাঁদের এই খেত পাহারা দেওয়ার কাজ এক থেকে দুই মাস চলে বলে জানান তিনি।
এএফপিকে এই কুর্দি নারী বলেন, ‘কোনো কারণে ফসলের খেতে আগুন লাগলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেটি জানতে পারি ও অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের খবর দিই।’
কয়েক বছর খরা চলার পর এ বছর উত্তর–পূর্ব সিরিয়ায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে সেখানকার কৃষকেরা ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, গ্রীষ্মকালীন দাবানল তাঁদের এই মূল্যবান ফসল নষ্ট করে দিতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ায় আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলেও গত বছর কৃষির উৎপাদন ভালো হয়নি। এর আগের বছর প্রায় রেকর্ড পরিমাণ কম ফসল উৎপাদিত হয় সেখানে।
মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুন মাসে সিরিয়ার ওই অঞ্চলে দাবানলে অন্তত ১০ জন নিহত হন।
ইয়াসমিন ইউসুফ বলেন, ‘আগে লোকজন আমাদের কাজের ব্যাপারে আস্থাশীল ছিলেন না। তাঁরা বলতেন, “এই নারীরা কী করছেন?” এখন সবাই ফসলের খেত রক্ষায় আমাদের ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একমত।’
‘এখানকার মানুষ এ ফসলের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। এগুলো নষ্ট হলে আমাদের অবস্থা খারাপ হবে,’ বলেন ইয়াসমিন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১