৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:সোমবার, ১১ জানু ২০১৬ ০২:০১
উপজেলা সংবাদদাতা::
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম বড়ধামাইয়ে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ৯ জানুয়ারী শনিবার আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় ঘটনাটি ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ফটিক মিয়া ও তার পরিবারের সাথে স্থানীয় সোনা মিয়ার পরিবারের লোকদের মধ্যে বিবাদটি হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বিগত কিছুদিন ধরে পল্লিবিদ্যুতের পুরোতন একটি খুঁটি সংস্কার করে নতুন খুঁটি স্থাপন করতে গেলে সোনা মিয়ার পরিবারকে সংযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান ফটিক মিয়া। এতে সোনা মিয়ার পুত্র চেরাগ আলীর সাথে ফটিক মিয়ার ভাই সিরাজ উদ্দিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। ফটিক মিয়া ও তার ভাইয়েরা দা ও লাটি দিয়ে অতর্কিত হামলা করলে গুরুতর আহত হোন চেরাগ আলী(৬৫)। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার মাথায়, দেহে ও হাতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এই ঘটনায় গুরুতর আহত চেরাগ আলীর ছোটভাই আলী আরব বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন৷
মামলার বাদী আলী আরব তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য এ হামলা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানান। তিনি আরো বলেন, একজন নাগরীক হিশেবে বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়া তাদের অধিকার। কেবলমাত্র বিএনপি ভাবাপন্ন ও পারিবারিক শত্রুতার কারণে ফটিক মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে বিদ্যুত সংযোগ থেকে বঞ্চিত করতে চাইলে তার ভাই বাঁধা দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ফটিক মিয়া ও তার ভাইয়েরা হামলা চালায়।
আওয়ামীলীগ নেতা ফটিক মিয়া প্রতিবেদকে বলেন, বিদ্যুতের তার টানানোর সময় চেরাগ আলীর ভুমির উপর দিয়ে কিছু অংশ নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে চায়নি। এতে তার কোন হাত নেই বলে তিনি জানান। হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়েছে। এতে কেউ কেউ আহত হয়ে থাকতে পারে।
জুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল বাশারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থানায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে আদালতে অভিযোগ হয়েছে বলে তিনি জানান। আদালতের নির্দেশ পেলে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১