পাঁচ বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪ ১১:০৬

পাঁচ বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে: অর্থমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এই খাতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩১ সালের মধ্যে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, রোবোটিকস, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক ভেহিকেল, স্পেস ও জিওস্পেশিয়াল প্রযুক্তিসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিভিত্তিক গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।’

তিনি আরও বলেন, আইসিটি খাতের রপ্তানির পরিমাণ আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৫ বিলিয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হবে। এ খাতের অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিটি সেক্টরে স্মার্ট হয়ে ওঠার মানদণ্ড তৈরির পাশাপাশি তৃণমূলসহ দেশব্যাপী উদ্ভাবন ও গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের ফলে গত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ইন্টারনেটের মূল্য অনেক কমিয়ে ওয়েবভিত্তিক কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ প্রসারিত করা হয়েছে। গ্রামীণ জনপদে এর সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১২ কোটির বেশি। সারা দেশে ৯ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা আছেন, এর মধ্যে ৫ হাজার ৩৪৪ জন নারী। সাড়ে ৮ হাজার পোস্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারছেন। এ ছাড়া যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময়ে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য ২ হাজার ৪ শতাধিক সেবাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এর গ্রাহকসংখ্যা ২০০৮ সালের ৪০ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষে প্রায় ১২ দশমিক ৯২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ডেনসিটি ৭৫ দশমিক ১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৮ সালে ছিল মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ।