ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের আলাদা ওয়েজবোর্ড চালুর দাবি জবিসাসের

প্রকাশিত:শনিবার, ১১ জানু ২০২৫ ০৩:০১

ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের আলাদা ওয়েজবোর্ড চালুর দাবি জবিসাসের

ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জন্য আলাদা ওয়েজ বোর্ড গঠন করে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে এ দাবি উত্থাপন করেন। অপ-সাংবাদিকতা রুখতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলারও দাবি জানান তিনি।

মাহতাব লিমন বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের প্রতিটি মিডিয়া হাউস থেকে যেন যথাযথ সুযোগ সুবিধা মূল্যায়ন করা হয় সেজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশে একটি সুস্থ ধারার সাংবাদিকতার ভিত্তি চালু করতে হবে প্রেস ইনস্টিটিউটকে।

দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেমিনারের বিশেষ আলোচক প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আমরা এরইমধ্যে সাংবাদিকদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ হাতে নিয়েছি। ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের নিয়ে আমরা আলাদা বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করব খুব শিগগিরই।

সেমিনারের প্রধান আলোচকের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। চোরতন্ত্র তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা। বড় বড় কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেওয়া ছিল তার কাজ। সে সময় বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এখন সেই টাকায় প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি। পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়। এটা থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে যাতে আর কোনো ন্যারেটিভ তৈরি করতে না পারে কেউ।

অনুষ্ঠানে জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের ইতিহাস আমরা যা দেখেছি, তা বর্ণনা করতে গেলে কয়েক ঘণ্টা লেগে যাবে। স্বৈরাচার যখন কোনো একটা ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে তখন বলা হতো ছাত্রদল অথবা শিবির মরেছে। তাহলে তার পাশে কাউকে দেখা যেত না। জুলাই বিপ্লবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এছাড়া অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জবি সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি আসাদুল ইসলাম।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।