২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:রবিবার, ১২ জানু ২০২৫ ০১:০১
পর্তুগালের গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশি অধ্যুষিত রাস্তা দুয়া দো বেনফরমোজোতে পুলিশি অভিযানে অভিবাসীদের মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ায় প্রতিবাদ র্যালি করে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানী লিসবনে হাজার হাজার পর্তুগিজ নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ প্রতিবাদ র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি স্থানীয় আলামেদা পার্ক থেকে র্যালি শুরু হয়।
এ সময় বৈষম্য এবং বর্ণবাদের স্থান নেই পর্তুগালে, সবার অধিকার সমানসহ নানা স্লোগান দিতে থাকে র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা। এ প্রতিবাদের মাধ্যমে অভিবাসীদের প্রতি মানবতার সহমর্মিতা স্বরূপ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল পর্তুগিজ নাগরিকরা।
প্রতিবাদ র্যালির আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আনাবেলা রদ্রিগেজ জানান, ঐতিহাসিকভাবে পর্তুগালে বর্ণবাদের ঠাঁই নেই। ১৯৭৪ সালের স্বৈরশাসকের পতনের মাধ্যমে ফ্যাসিজমের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যারা পর্তুগালে রয়েছে সবারই মানবিক মর্যাদা রয়েছে। তাই মানবিক মর্যাদা রক্ষায় আমাদের এ আয়োজন।
আইনজীবী এবং সমাজকর্মী আনা লুইজা বলেন, পর্তুগালে বসবাসকারী সবার অধিকার রক্ষার জন্য পর্তুগিজ সংবিধান মেনে চলতে হবে। ১৯ ডিসেম্বরের ঘটনা আইনের অধিকারের প্রতি কিছুটা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। যার ফলে অভিবাসীদের মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভাই অভিবাসীদের প্রতি সহমর্মিতায় জন্য আমি এখানে অংশগ্রহণ করেছি। তাছাড়া পর্তুগালের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হতে এসেছি।
প্রতিবাদ র্যালি শেষে স্থানীয় পার্কে নেতারা তাদের এ আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। আয়োজক কমিটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পর্তুগাল প্রবাসী সমাজকর্মী এবং সাংবাদিক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। তিনি বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পর্তুগালে সুনাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম এবং ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশ অধ্যুষিত রাস্তায় দেশটির পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানে সেখানে অবস্থানরত ৪০০ এর বেশি নারী-পুরুষকে প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত দেওয়ালে হাত রেখে দাঁড় করিয়ে রাখে। পরবর্তীতে তল্লাশির পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে পর্তুগালের জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১