ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যা, চার মাস পর মূল আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪ ১০:০৬

ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যা, চার মাস পর মূল আসামি গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক: আসামি জাকির হোসেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ মাদরাসাপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. তরিকুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেন সরকারের ছেলে আবু রায়হান মো. মিজানুর রহমানের বাড়িতে একটি হত্যাসহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী ৬-৭ জনের একটি দল বাড়ির প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে মিজানুরের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম সুইটির (৩২) মাথায় আঘাতের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ সময় ডাকাতদল মিজানুরকে মারপিট ও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, জমির দলিলসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় পরের দিন আবু রায়হান মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ছয় দিনের মাথায় অভিযান চালিয়ে হত্যাসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই আসামি এবং পরবর্তীতে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যার মধ্যে তিনজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তরিকুল ইসলাম জানান, মামলার প্রধান অভিযুক্ত পেশাদার দুর্ধর্ষ ডাকাত জাকির হোসেন ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে ছিলেন। ঘটনার চার মাস পর তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর আলম সিদ্দিকের চেষ্টায় শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জাকিরের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের নয়টি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।