ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রু ২০২৫ ০২:০২

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে সংগৃহীত ১ হাজারের অধিক স্বাক্ষর উপাচার্য বরাবর জমা দেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসুর রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান। পরে প্রশাসন আগামী মার্চের ৩য় সপ্তাহের মধ্যে ডাকসুর রোড ম্যাপ ঘোষণা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় সম্মিলিত ডাকসু আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্য অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে শিক্ষার্থীদের সাথে ঢাবি প্রশাসনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ডাকসুর রোডম্যাপ, আজকেই দিতে হবে, টালবাহানা চলবে না, দিয়ে দাও ঘোষণা, গণরুম না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩টি বিষয়ের আশ্বাস প্রদান করা হয়। সেগুলো হলো—

• আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গঠিত ৪টি কমিটির কার্যক্রমের হালনাগাদ শিক্ষার্থীদের জানানো হবে।

• আজকে সিন্ডিকেটের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর পরবর্তী দশ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় সিন্ডিকেট মিটিং আহ্বান করা হবে এবং দ্বিতীয় সিন্ডিকেট মিটিংয়ে সংস্কার প্রস্তাবনা ও আচরণবিধি অনুমোদনের বিষয়টি তোলা হবে।

• এই সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।

সম্মিলিত ডাকসু আন্দোলন প্লাটফর্মের নেতৃস্থানীয় আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জামালুদ্দিন খালেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সহিংস রাজনীতির ধারা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আমরা যারা রাজনীতি করি না ক্যাম্পাসে তাদের কোনো অভিভাবক নেই। প্রশাসন নিজেদের মতো করে কোনো সিদ্ধান্তও নিতে পারছে না। তাদের সকল সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলো দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা সংস্কারের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করছে। অভ্যুত্থানের পর ৭ মাস চলে গেলেও এখনো তারা কী সংস্কার করছে তা আমাদের বুঝে আসে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সারাদেশে ক্যাম্পাসগুলোতে ডাকসুর বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করেছিলাম। তারা নানা কমিটি করেছে সংস্কারের জন্য। সংস্কারের মূলা ঝুলিয়ে তারা কালক্ষেপণ করছে।

তিনি বলেন, ডাকসু রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সকল শিক্ষার্থীর। কিন্তু নির্দিষ্ট সংগঠন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ফলে ডাকসুর সময় পেছাচ্ছে। শুরুতে আমরাই সময় দিয়েছি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি প্রশাসন নানা অযুহাতে কেবল সময় নষ্ট করছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সম্মিলিত ডাকসু আন্দোলনের ব্যানারে ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণার পক্ষে গণসাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত ৫ দিনে এ কর্মসূচির আওতায় এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর সাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে বলে জানান তারা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ