‘ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে’

প্রকাশিত:সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ০৯:০৬

‘ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে’

নিউজ ডেস্ক: সোমবার (১০ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আধুনিক কৃষি, অভিন্ন নদীর পানি আগ্রাসন এবং জলবায়ুর ভারসাম্যহীনতা রোধে শহীদ জিয়ার ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারতের নতুন সরকার সম্পর্কে আমার একটাই কথা, তারা আমাদের প্রতিবেশী। নতুন সরকারের কাছে একটাই আশা করবো, সে দেশে যেভাবে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, এখনও তাদের নির্বাচন কমিশন যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, বিচার বিভাগ যেভাবে কাজ করতে পারে, আমরাও ১৯৭১ সালে সেই লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম। দেশে গণতন্ত্রকে সেইভাবেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগণের সেই প্রত্যাশাকে তারা মর্যাদা দেবেন, সেই ভাবেই তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।

আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকালকে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম সেখানে আমার পুরানো এক ইউনিভার্সিটির বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আমি নাম বলবো না। তাকে আপনারা হয়তো অনেকেই চিনে ফেলবেন, সে এখন রাজনীতি থেকে দূরে আছে। সে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ করেছে, এমপিও হয়েছে; কিন্তু এখন প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে সে রাজনীতি থেকে দূরে সরে আছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি রাজনীতি করছ না কেন? সে বলে কোন রাজনীতি করবো, আমি বললাম আওয়ামী লীগ করবা। সে বলল আওয়ামী লীগ কি আর আওয়ামী লীগ আছে? এটাতো এখন আজিজ আর বেনজীরের আওয়ামী লীগ। এই যে দেখুন একজন আওয়ামী লীগের নেতার উপলব্ধি। এটাই বাস্তবতা।

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের ৫৩ বছরের সমস্ত অর্জনগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, কোথাও কোনো বিচার নাই, ব্যবসা করতে গেলে সরকারের লোকজনকে চাঁদা দিতে হবে। এরা পরিকল্পিতভাবে দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এমন উন্নয়ন করেছে সরকার, জনগণ এখন ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশ গভীর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। একদিকে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক, অন্যদিকে ভৌগোলিক দিক থেকে। তিস্তার পানি নিয়ে বহু খেলা হচ্ছে। ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও এখন পর্যন্ত তিস্তার পানি চুক্তি করতে পারে নাই এই সরকার। অথচ জিয়াউর রহমান তিস্তার পানির জন্য জাতিসংঘ পর্যন্ত গিয়েছিলেন।

মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন দার্শনিক। আমরা কারও সংগ্রাম কারও অবদানকে ছোট করতে চাই না। জিয়াউর রহমানকে ছোট করা মানে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাকে বেশিদিন ধরে রাখতে পারি নাই। চক্রান্তকারীরা তাকে হত্যা করেছে।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কৃষকদলের যুগ্ম-সম্পাদক শাহাদত হোসেন বিপ্লব, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ