৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ০৯:০৬
নিউজ ডেস্ক: সোমবার (১০ জুন) খিলগাঁও কাঁচা বাজার এবং আশেপাশের এলাকা ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আজহার আগে ভারতীয় জিরা প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও কেজি প্রতি ১০০ টাকা কমে এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে শাহী জিরা। আর ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মিষ্টি জিরার দাম কমে এখন প্রতি কেজি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে পাঁচফোড়ন ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও ঈদকে সামনে রেখে কেজি প্রতি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
৪০০ টাকার কেজির রাঁধুনি কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে এখন ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মেথি ১৬০ টাকা কেজি, চিনাবাদাম ১৬০ টাকা কেজি, কাজু বাদাম ১৩০০ টাকা কেজি, পেস্তা বাদাম ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন দাম কমে ২ হাজার ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ত্রিফলা ১৬০ টাকা কেজি, জয়ফল ১৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দাম কমে এখন ১ হাজার টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। তেজপাতা ১২০ টাকা কেজি, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দাম কমে এখন ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ২৬০ টাকা কেজির ধনিয়া কেজি প্রতি দাম কমে ১৮০ টাকা, ১৪০ টাকা কেজির সরিষা দাম কমে ১০০ টাকায়, ৮০০ টাকা কেজি দরের কিশমিশ কেজি প্রতি প্রায় ২০০ টাকা কমে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজির গোল্ডেন এলাচ কেজি প্রতি ২৮০০ টাকা, ২৬০০ টাকা কেজি দরের বড় এলাচ কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৮০০ টাকা, গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম কমে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লবঙ্গ কেজি প্রতি ৫০০ টাকা কমে এখন ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া জয়ত্রি কেজি প্রতি ৮০০ টাকা কমে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ হাজার ৮০০ টাকার পোস্তদানা কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার টাকা, ৬০০ টাকা কেজির আলুবোখারা দাম কমে ৪৭০ টাকা, ৬০০ টাকা কেজির দারুচিনির দাম কমে ৫০০ টাকা, ২৮০ টাকা কেজির খোলা হলুদের গুড়া ৩৬০ টাকা, ৪০০ টাকা কেজি খোলা মরিচের গুড়া ৫০০ টাকা এবং ৩ হাজার ৬০০ টাকার কেজির কালো এলাচ দাম কমে ২৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খিলগাঁও কাঁচা বাজারের মসলা বিক্রেতা মোজাম্মেল বলেন, প্রায় সব মসলাতেই দাম কমেছে। দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গসহ সব মসলাতে দাম এখন কম। ঈদুল আজহায় সবাই যেহেতু কোরবানি করে সেহেতু মসলার চাহিদা বেশি থাকে। ইতিমধ্যে ক্রেতারা মসলা কেনা শুরু করে দিয়েছেন। তবে ঈদের দুইদিন থেকে তিনদিন আগে প্রচুর মসলা বিক্রি হবে।
মসলা বিক্রেতা আহাদ আলী বলেন, মসলার দাম কমলেও ক্রেতাদের সন্তুষ্টি দেখি না। সব মসলায় নাকি দাম। আমাদের হাতে তো দাম নিয়ন্ত্রণের মেশিন নাই যে দাম কমাবো। যারা দাম নিয়ন্ত্রণ করে তাদের উদ্যােগ নিতে হবে।
বাজারে মসলা কিনতে আসা আব্দুর রহমান ঢালী বলেন, ঈদে আমি ২টি গরু কোরবানি করবো। খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেক মাংস থাকে। মসলারও প্রয়োজন হয় প্রচুর। কিন্তু মসলার বাজারে দেখি সবকিছুরই দাম। একটা ৫০০ টাকা কেজির মসলা যদি কেজি প্রতি ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে একমাস পর ২০০ টাকা কমায় তাহলে কি তাকে কম বলা যায়? এগুলো তো সিন্ডিকেট ব্যবসা।
মসলা কিনতে আসা আলতেফাত করিম বলেন, প্রতিবছরই মসলা কিনতে হয়। কিন্তু এবার নাকি মসলার দাম কম। বাজারে এসে দেখি কিছুই কম নাই। দাম আগের মতোই চড়া। মানুষের চোখ ওয়াশ করার মতো দাম কমিয়ে লাভ নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১