শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টি করাসহ চার দাবি

প্রকাশিত:রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫ ১২:০৩

শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টি করাসহ চার দাবি

অনতিবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন পদ সৃজন করাসহ চার দাদফা বি জানিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএমএ), বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার অ্যাসোসিয়েশনএম (বিডিপিপিএ) এবং সাধারণ ম্যাটস্ শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ।

রোববার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এই দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ডিপ্লোমা মেডিকেল তথা ডিএমএফ কোর্স সম্পূর্ণকারি প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ জনবল কর্মসংস্থানহীন, বেকার হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ম্যাটস্ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভাবে জুলুম ও বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘকাল ধরেই আন্দোলন সংগ্রাম করার পরেও আমাদের বৈষম্য নিরসনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

তারা বলেন, শূন্য পদ থাকার পরেও গত একযুগের বেশি সময় ধরেই নিয়োগ বন্ধ রয়েছে, তারমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রায় ২ হাজার পদ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে প্রায় ১ হাজার শূন্য পদের ছাড়পত্র দেওয়া হলেও নিয়োগ নিয়ে তালবাহানা করে যাচ্ছে। এতে করে একদিকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে ম্যাটস্ থেকে পাশকৃত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ সময় তারা তাদের চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো— প্রতিষ্ঠান ও কোর্সের নাম পরিবর্তন করে অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করে ইন্টার্নশিপে লগবুক প্রণয়ন করতে হবে; বিএমএন্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অধিকার প্রদান করতে হবে; এবং প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড খসড়া আইনের নাম পরিবর্তন করে ‌‌‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামকরণ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, বর্তমানের আমাদের চলমান যৌক্তিক ৪ দফা আন্দোলন নিয়ে কতিপয় স্বৈরশাসকের দালাল গ্রেজুয়েট চিকিৎসকের উসকানিতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন আমাদের নিয়ে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিবৃতিতে বিভিন্ন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার প্রচারণা করছে। এতে ডিএমএফ ডিগ্রিধারী উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের অর্জিত সুনাম নষ্ট হচ্ছে এবং জনমনে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।

তারা বলেন, কোর্টের চলমান মামলার রায়কে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতি, কর্মসূচি, সভা সমাবেশ একদিকে দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিরোধী এবং আদালত অবমাননার সমান অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ম্যাটস সাধারণ শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিনিয়র সমন্বয়ক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, আহসান হাবিব প্রমুখ।