১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই মার্চ, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫ ১২:০৩
বিগত ৫ আগস্টের আগে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহম্মেদের প্রভাব খাটিয়ে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার মইশাকান্দা বাজারে ২১ শতক জমি ও মার্কেট দখল করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দেওয়া আশরাফুল ইসলাম। তবে দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
কিন্তু পালিয়ে গিয়েও প্রকৃত জমির মালিক মোসলেম উদ্দিনের পরিবারের ৪৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলচাপড়াকান্দা গ্রামের মইশাকান্দা বাজারে ২০০০ সাল থেকে ক্রয়সূত্রে ২১ শতক জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিন। কিন্তু দীর্ঘ ২৫ বছর পর গত বছরের ২৫ জুলাই অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করে এই জমি ও মার্কেট দখল করে নেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আশরাফুল ইসলাম। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দখল করা জমি ও মার্কেট পতিত ফেলে আশরাফুল আত্মগোপনে চলে যান বলে নিশ্চিত করেন মোসলেম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমার জমি ও মার্কেট দখলকারি আশরাফুল পালিয়ে গিয়ে গত ১ সেপ্টম্বর আমার পরিবারের ৪৪ জন্য সদস্যকে আসামি করে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে ওই মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। আমি এ ঘটনার তদন্তপূর্বক ন্যায়বিচার দাবি করছি।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলার ৯ নম্বর বালিয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ক্রয়সূত্রে জমিটি দীর্ঘদিন যাবত মোসলেহ উদ্দিন দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিল। কিন্তু কাগজপত্রে একটু ঝামেলার সুযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল জমিটি দখল করেছিল। সে বিগত সময়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বহু অপকর্ম করেছে। তবে সরকার পতনের পর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছে।
বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আল আমিন জানান, জমিটি মোসলেম উদ্দিনের বলেই আমরা জানি। তবে কিছু দিন আগে এই জমিটি আশরাফুল তার নিজের দাবি করায় ঝামেলা সৃষ্টি হয়।
একই ধরনের মন্তব্য করে ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল মোজাহীদ সরকার বলেন, মোসলেম এই জমিটি কিনে মার্কেট করেছিল। তবে এই দাগের রেকর্ডে একটু ঝামেলা থাকায় আশরাফুল ও মোসলেমের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। এটা নিয়ে একাধিক সালিসও হয়েছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও আশরাফুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাদি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে আরও কোনো অভিযোগ আছে কিনা, তা আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১