১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মার্চ, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫ ০৩:০৩
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব উল্লেখ করে তাসখন্দে একটি শহীদ মিনার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
বুধবার (৫ মার্চ) উজবেকিস্তানের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী ওজোদবেক নাজারবেদোভের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করে এই প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বন্ধন ও সম্প্রীতির ওপর আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও বিনিময়ের ওপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারকটি দ্রুততার সঙ্গে স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন, যা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতি ও মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উজবেকিস্তানের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী নাজারবেদোভ সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের বিষয়ে দূতাবাসের উদ্যোগ ও প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন যে, এর মাধ্যমে শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্র ও বিষয়গুলো প্রসারিত হবে না, তা বন্ধুপ্রতিম জনগণের সৌহার্দ্রতা ও বোঝাপড়াকে আরও শক্তিশালী করতে অর্থবহ অবদান রাখবে। ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে বিকশিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব উল্লেখ করে তাসখন্দে শহীদ মিনার স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপনের জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। দুপক্ষের সুবিধাজনক সময়ে তিনি বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকে আরও জোরদারকরণের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১