১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মার্চ, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫ ০৩:০৩
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে কদমতলী এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবর্ষণসহ উভয় পক্ষের মধ্যে কোপাকুপির ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরের সহযোগীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর মনিরের সহযোগী রুহুল ও তার লোকজন ইপিজেডের ভেতরে সাগরের সহযোগীদের কুপিয়ে জখম করে। এর জের ধরে পরে বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় তোফাজ্জল হোসেন নামের এক সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ১০টি পোড়া মোটরসাইকেল ও রুহুল আমিনের মালিকানাধীন মার্কেটের সাটারে গুলির চিহ্ন দেখা যায়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ব্যবসা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে আজ বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা মতির লোক রুহুল, সাজ্জাদ, পাকনা বাবু, রেহান সাহেবের নাতি শাকিলের নেতৃত্বে হামলা হয়। এ সময় সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহন, মানিকসহ ৪-৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তারা আদমজীর পুরোনো থানার সামনে ১০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আমার কয়েকজন লোককে মারধর করে আহত করেন। এ ছাড়া আমার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়েন।
এদিকে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরের সহযোগী রুহুল আমিন বলেন, ছাত্রদল নেতা সাগর (রাকিবুর রহমান সাগর) আমার মার্কেটে হামলা করেছে। আমার মার্কেটে আটটি গুলি করেছে। গুলির চিহ্ন (প্রমাণ) আছে। তারা ১৫-১৬টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। মতির (সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক) সঙ্গে আঁতাত করে মতির সকল ব্যবসা-বাণিজ্য ও অস্ত্র তাদের কাছে আছে। আমরা এমন কোনো ছাত্রনেতা চাই না যার কাছে অস্ত্র আছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। দুই পক্ষের মধ্যেই ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলানো কঠিন ছিল। আমাদের ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১