৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই আগস্ট, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৪:০৩
মিয়ানমারে শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৩০ জন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে দেশটি বড় দুটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে।
মৃত্যুর সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সামরিক সরকারের কর্মকর্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইং টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, “নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
মিয়ানমার ছাড়াও শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও। সেখানে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি। ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন উঁচু ভবন ধসে পড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এপি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে আটকে পড়াদের বের করার চেষ্টা করছে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয় রাজ্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এক উদ্ধারকারী জানিয়েছিলেন, মান্দালয়ের অবস্থা বেশ খারাপ। সেখানে শত শত মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা করেছিলেন তিনি।
কম্পনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় মান্দালয়ের বিভিন্ন সড়ক, সেতু ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকারীর এখন ওই আক্রান্ত এলাকায় কীভাবে পৌঁছাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশটিতে ২০২১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। এতে সেখানে মানবিক বিপর্যয় চলছিল। এই ভূমিকম্প পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।
মান্দালয়ের সড়কের পাশাপাশি মা সো ইয়েন নামের একটি মঠ ধসে পড়েছে। এটি দেশটির সবচেয়ে বড় মঠ। এছাড়া ভেঙে পড়েছে পুরোনো রাজপ্রাসাদও। এরমধ্যে দাতব্য সংস্থা ক্রিষ্টান এইড জানিয়েছে, সেখানে একটি বাঁধ ফেটে গেছে। এতে করে নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার দুপুরে আঘাত হানা জোড়া ভূমিকম্পের প্রথমটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।
মিয়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এখন সামনে আসা শুরু করেছে।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত তিতের বরাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মান্দালয় প্রদেশের ফো শিং মসজিদ ধসে পড়েছে। এছাড়া সেখানে আরও অন্তত তিনটি মসজিদ ভেঙে পড়েছে। মসজিদ ধসে পড়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন মারা গেছেন।
একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, “আমরা যখন নামাজ পড়ছিলাম তখন এটি ধসে পড়ে। তিনটি মসজিদ ধসে পড়েছে। মানুষ আটকে আছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেশি হতে পারে। শি ফো শিং মসজিদও ধসে পড়েছে।”
এছাড়া তুয়াঙ্গো সিটির মঠ ধসে পাঁচ উদ্বাস্তু শিশু নিহত হয়েছে। তারা সেখানে আশ্রয়ে ছিল। সময় যত গড়াচ্ছে চারদিক থেকে ততই মৃত্যুর তথ্য আসছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১