৬ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে আগস্ট, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ০৩:০৬
নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স, স্পেন, গ্রিসসহ ইউরোপের ১৩ দেশে বিশেষজ্ঞরা মশার এমন প্রজাতি শনাক্ত করেছেন, যেগুলো ডেঙ্গু জ্বর, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের মতো রোগের বিস্তারের জন্য দায়ী। মশার এই প্রজাতিটি ‘এডিস অ্যালবোপিক্টাস বা এশিয়ান টাইগার মসকিউটোস’ নামে পরিচিত।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হওয়ায় মশার এই প্রজাতিটি ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানায় ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি)।
আগামী মাসের শেষ দিকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অলিম্পিক গেমস শুরু হতে চলেছে। তখন সারা বিশ্ব থেকে লাখ লাখ মানুষ প্যারিসে আসবেন। সে সময়ে ইউরোপজুড়ে আরও দ্রুত মশার বিস্তার ঘটার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ইসিডিসি। কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্যারিসের বিভিন্ন এলাকায় মশার বিস্তারের ওপর নজর রাখছে এবং সেগুলো ধরে পরীক্ষা করা শুরু করেছে বলে জানায় বিবিসি।
তাঁরা স্থানীয় লোকজনের বাগান ও বারান্দায় পানি জমতে না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এ ধরনের মশা বংশবিস্তার করে।
উদ্বেগের কারণ
দুই দশক ধরে ইউরোপে বড় হুমকিতে পরিণত হচ্ছে মশা। বিশেষ করে বিশ্বে মশার সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রজাতি এডিস অ্যালবোপিকটাস দক্ষিণ ইউরোপ থেকে এখন পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে।
ইসিডিসি জানায়, সম্প্রতি অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইতালি, মাল্টা, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভানিয়া ও স্পেনে এরই মধ্যে এডিস মশা শনাক্ত হয়েছে। বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভাকিয়ায় অতীতে এডিস মশা শনাক্ত হয়েছিল।
এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বর, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের মতো রোগের বিস্তার ঘটায়। এই রোগগুলো সাধারণত এশিয়া, আফ্রিকা ও আমেরিকার দেশগুলোতে দেখা যায়।
মানুষের শরীরে ডেঙ্গুর উপসর্গ শুরু হয় জ্বর দিয়ে। এটি এতটাই মারাত্মক যে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
গত কয়েক বছরে ইউরোপে ডেঙ্গু জ্বরের বিস্তার দেখা গেছে। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেনসহ বেশ কয়েকটি দেশে মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ভ্রমণ করতে গিয়ে এ রোগে সংক্রমিত হন। গত বছর ইউরোপে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ভ্রমণে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। তবে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। গত বছর ইউরোপে ১৩০ জন স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হন। এর আগের বছর ছিল ৭১ জন।
এ বছর মার্চের শুরুতেই স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সময়ের অনেক বেশি আগে ‘ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়া’ নিয় তাই উদ্বিগ্ন ইসিডিসি। এ জন্য তারা জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে দায়ী করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ১০০টির বেশি দেশে ডেঙ্গু জ্বর মহামারি আকার নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১