৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪ ১০:০৬
নিউজ ডেস্ক: টানা ভ্যাপসা গরমে ছেলে-বুড়ো সবারই ঘেমে-নেয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই গরম থেকে বিভিন্ন রকম অসুখ-বিসুখও হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ত্বকের সমস্যা। অতিরিক্ত গরমে ঘাম থেকে বাচ্চাদের ঘামাচি হতে পারে। অতিরিক্ত ঘামে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ঘাম শরীর থেকে বের হতে পারে না। এই ঘাম ত্বকের নিচে জমেই হয় ঘামাচি।
শিশুদের লোমকূপ বড়দের চেয়ে তুলনামূলক ছোট হওয়ায় তাদেরই ঘামাচি বেশি হয়ে থাকে। ঘামাচি খুব বেশি মারাত্মক কিছু না হলেও বেশ বিরক্তিকর। এর জ্বালা ও চুলকানিতে বাচ্চারা কষ্ট পায়।
সাধারণত পেট, বুক, ঘাড়, নিতম্ব ও ভাঁজযুক্ত স্থানে ঘামাচি বেশি হয়। ঘামাচি লালচে ছোট ছোট গোটার মতো হয়। কখনো কখনো ঘামাচিতে ইনফেকশন হয়ে ফোঁড়াও হয়ে যেতে পারে।
শিশুকে ঘামাচি থেকে রক্ষা করতে যা জানা দরকার
শিশুরা বাইরে থেকে আসার পরই পোশাক খুলে বাতাসে ছড়িয়ে দিতে হবে।
শিশুকে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানিতে গোসল করাতে হবে। পানি বরফঠান্ডা অথবা বেশি গরম না হওয়াই ভালো।
গোসলের বদলে শিশুকে ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছিয়েও পরিষ্কার করে দেওয়া যেতে পারে।
ঢিলেঢালা সুতির পোশাক শিশুর শরীরের জন্য ভালো।
ফ্যান-এসি ব্যবহার করে শিশুকে ঠান্ডা রাখতে হবে। তবে বাচ্চারা যেন প্রাকৃতিক বাতাস পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
বাচ্চাদের বেশি করে পানি ও তরল খাবার খাওয়ানো উচিত।
শরীরের ভাঁজযুক্ত যেসব জায়গায় ঘাম জমে ঘামাচি বেশি হয়, সেসব জায়গার ঘাম ভালোভাবে মুছে দিতে হবে, পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্লাস্টিকের স্তরবিশিষ্ট ডায়াপার পরিহার করা প্রয়োজন।
ঘামাচি হলে কী করবেন
চুলকানি ও জ্বালা কমানোর জন্য বেবি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। কখনোই নখ দিয়ে ঘামাচি চুলকান উচিত নয়। এতে বাচ্চার ত্বকে ইনফেকশন হতে পারে।
চুলকানি কমানোর জন্য বাজারে একধরনের লোশন পাওয়া যায়, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী যা ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঘামাচিতে ইনফেকশন হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো অয়েন্টমেন্ট বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১