জাবালিয়ায় বাড়ি-হাসপাতালে ও রাফায় ইসরায়েলি হামলা, বহু প্রাণহানি

প্রকাশিত:বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ১০:০৫

জাবালিয়ায় বাড়ি-হাসপাতালে ও রাফায় ইসরায়েলি হামলা, বহু প্রাণহানি

নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জাবালিয়ায় গতকাল মঙ্গলবার জোরালো হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে হাসপাতালে হামলা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, ট্যাংক ও বিমান হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে আবাসিক এলাকা। অন্যদিকে গাজার দক্ষিণে রাফায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

এ মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে একযোগে ইসরায়েলি হামলার জেরে নতুন করে লাখো মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পথ অনেকটাই রুদ্ধ করা হয়েছে। ফলে সেখানকার মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে পড়েছেন।

সপ্তাহ দুয়েক আগে জাবালিয়ায় জোরালো অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ৭৫ বছর আগে উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মাণ করা একটি শিবিরের দোকানপাট ও স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।

ইসরায়েলের অভিযোগ, ওই শরণার্থীশিবিরে হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। যাতে তারা আবারও সংগঠিত হতে না পারে।

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, কয়েক দিনে গাজা উপত্যকায় ‘সন্ত্রাসীদের অন্তত ৭০টি লক্ষ্যবস্তু’ ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে সামরিক স্থাপনা, অস্ত্র সংরক্ষণাগার, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র, নজরদারি–পোস্ট রয়েছে।

জাবালিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে জরুরি বিভাগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ সময় সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুত রোগীদের হাসপাতালের বাইরে সড়কে নিয়ে আসেন।

হাসপাতালটির প্রধান হুসাম আবু সাফিয়া বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রবেশপথে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে। কয়েক সেকেন্ড পর সেখানে আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে। আর তৃতীয় একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে পাশের একটি ভবনে।

জাবালিয়ায় আল-আওদা হাসপাতালেও তৃতীয় দিনের মতো হামলা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে এখন মাত্র দুটি হাসপাতালের কার্যক্রম চালু আছে। সেখানে এসব হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা চালু রাখার নিশ্চয়তা দেওয়া খুবই জরুরি।

এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে বিমান হামলায় তিন শিশুর প্রাণ গেছে। আর রাফায় একটি বাড়িতে হামলায় তিন শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাজার খুজা এলাকার এক বাসিন্দা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, সব জায়গায় বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। মানুষ ভীষণ ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আতঙ্কে পালিয়ে যাচ্ছে।