জামায়াতে ইসলামী ভারতের বাঁধে ডুবছে সিলেট, অথচ প্রধানমন্ত্রী কোনো কথাই বলেননি

প্রকাশিত:সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ০৩:০৬

জামায়াতে ইসলামী ভারতের বাঁধে ডুবছে সিলেট, অথচ প্রধানমন্ত্রী কোনো কথাই বলেননি

নিউজ ডেস্ক: সোমবার (২৪ জুন) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি ভারত সফরকালে ভারতের সঙ্গে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে, তাতে তিস্তাসহ ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যর্থতা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য পাওনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, যা বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার। এ অধিকারের সঙ্গে আমাদের অস্তিত্ব তথা কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত। বাংলাদেশ সরকার অনির্বাচিত হওয়ার কারণেই অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ব্যাপারে দর কষাকষিতে বারবার নতজানু নীতি ও দুর্বলতা প্রকাশ করে আসছে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনীহার কারণেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকা অঞ্চলের বৃহত্তর সিলেটের উজানের অভিন্ন নদীগুলোর উপর ভারতের বাঁধ নির্মাণের কারণে প্রতি বছরই সিলেট অঞ্চলে বন্যায় হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। অথচ এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে কোন কথাই বলেননি। এ ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট অভিমত হলো, ভারত-বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যাসহ আমাদের দাবিসমূহ আদায় না হওয়া পর্যন্ত ভারতকে ট্রানজিটসহ যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা বন্ধ রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন সার্ভিস ও কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালুর জন্য ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি করেছেন তাতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যখনই ভারতে যান, তখন শুধু দিয়েই আসেন; কিছুই আনতে পারেন না। এটা তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফসল।