ছেলের অগ্নিপরীক্ষা শেষ হচ্ছে: অ্যাসাঞ্জের মা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ১০:০৬

ছেলের অগ্নিপরীক্ষা শেষ হচ্ছে: অ্যাসাঞ্জের মা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির খবরে তাঁর মা ক্রিস্টিন অ্যাসাঞ্জ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘অবশেষে অগ্নিপরীক্ষা শেষ হতে যাচ্ছে।’ অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেছেন তিনি।

পাঁচ বছর ধরে অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাজ্যের কারাগারে আটক ছিলেন। সেখান থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল সোমবার তিনি কারামুক্ত হন। অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করা ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এক এক্স বার্তায় উইকিলিকস জানিয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জ সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছেছেন।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসের একটি আদালতে দায়ের হওয়া নথি অনুসারে অ্যাসাঞ্জ জাতীয় প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের একটি অভিযোগে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। এর বিনিময়ে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মা ক্রিস্টিন অ্যাসাঞ্জ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার ছেলের অগ্নিপরীক্ষা যে অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এতে গোপন কূটনৈতিক আলোচনার গুরুত্ব ও শক্তি বোঝা গেছে।’

অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি এবং অন্য সংবাদমাধ্যমগুলো বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে ক্রিস্টিন আরও বলেন, ‘অনেকে আমার ছেলের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিজেদের এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে যে কঠোর পরিশ্রমী মানুষগুলো জুলিয়ানের ভালোর কথা আগে ভেবেছে, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

ক্রিস্টিনের মতে, একজন মা হিসেবে গত ১৪টি বছর তাঁর মনের ওপর অনেক বাজে প্রভাব পড়েছে।

২০১০ ও ২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ। এ ঘটনায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলার তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ।

উইকিলিকস বলছে, কারাগার থেকে বেরিয়ে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে যান। গতকাল বিকেলে তাঁর ফ্লাইট ছাড়ে। স্থানীয় সময় বুধবার অ্যাসাঞ্জের যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে পৌঁছানোর কথা। তাঁর ৬২ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যে যে পাঁচ বছর তিনি কারাভোগ করেছেন, সেটিও এই সাজার অন্তর্ভুক্ত হবে। এর অর্থ হলো অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারবেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ