১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ ১০:০৬
নিউজ ডেস্ক: তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথায়-কথায় বলেন বিদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে এনে বিচার করব। কিন্তু যারা দেশটা লুট করল, ব্যাংককে লুট করল, অর্থনীতি ধ্বংস করল… তাদের ধরে এনে বাংলার মাটিতে বিচার করব এই কথা তো আপনার মুখে শুনি না।
শুক্রবার (২৮ জুন) জুমার নামাজের পর বাইতুল মোকাররম মসজিদের সামনে মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।
আগামীতে একই দাবিতে জেলা-মহানগরে কর্মসূচি দেওয়া হবে জানান সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বাইতুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করে বিজয় নগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলকে কেন্দ্র করে পল্টন ও মসজিদ এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে দেখা যায়। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সেখানে ছিলেন।
মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে এনে বিচার করতে হবে। দুর্নীতির সব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে দেশের জনগণ একদিন এর বিচার করবে।
দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা। একটা ডিমের দাম ১৫ টাকা। আলুর কেজি ৭০ টাকা। আজকে দেশ কোথায় গেছে? প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে দুর্নীতি আজিজ আহমেদ, বেনজীর আহমেদ ও মতিউর রহমান সৃষ্টি হচ্ছে। আজকে দেশকে শেষ করে দিচ্ছে দুর্নীতিবাজরা। আওয়ামী লীগের লোক সংসদ সদস্য একে আজাদ বলেছেন যে, ৮-১০ মানুষ ব্যাংকগুলোকে লুটে সব টাকা নিয়ে গেছে। এটা সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরাও জানে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে বাংলাদেশের কোনও স্বার্থ নেই দাবি করে মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, ভারতের সঙ্গে রেল ট্রানজিট বাংলাদেশে হতো দেব না, বুকের রক্ত দিলেও এটি বাতিল করব। দেশকে বিক্রি করতে দেব না।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১