৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:বুধবার, ১০ জুলা ২০২৪ ০১:০৭
বর্ষা গ্রীষ্মের তাপ থেকে স্বস্তি দেয় তবে কিছু অসুস্থতার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়। বর্ষাকালে অনিরাপদ খাবার খাওয়ার ফলে আমাশয় এবং ডায়রিয়ার মতো খাদ্যজনিত রোগ হতে পারে। ফলে পেটে ব্যথা, লুজ মোশন, বমি বমি ভাব, জ্বর এবং বমি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পানি ও খাদ্য দূষণের কারণেও জন্ডিস হতে পারে। এর ফলে জ্বর, ঠান্ডা লাগা, পেটে ব্যথা, ফ্লু-এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর কারণে আপনার ক্লান্তি, চুলকানি এবং ওজন হ্রাসের মতো সমস্যাজনক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বর্ষাকালে সুস্থ থাকার জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য বেছে নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বর্ষকালে অসুখ এড়াতে কোন বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখবেন-
১. রান্না করার আগে বাজার থেকে কেনা সমস্ত খাদ্য পণ্য সঠিকভাবে ধুয়ে নিন।
২. নিজেকে এবং আপনার চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। রান্না করার আগে এবং খাওয়ার আগে আপনার হাত সাবান এবং পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
৩. রান্নার জন্য শুধুমাত্র পরিষ্কার পানি ব্যবহার করুন। অপরিশোধিত বা কলের পানির দূষণ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৪. সব সময় তাজা রান্না করা খাবার খান এবং যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই রান্না করুন। সপ্তাহের বাকি সময় অতিরিক্ত খাবার রান্না করা এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে বর্ষাকালে। কারণ এতে খাবার নষ্ট হওয়ার এবং বাহিত রোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫. জীবাণুর বৃদ্ধি এড়াতে অবশিষ্ট খাবার ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে ফ্রিজে রাখুন।
৬. অবশিষ্ট খাবার খাওয়ার সময়, খাওয়ার আগে এটি সঠিকভাবে গরম করুন। পুনরায় গরম করার সময় সস, স্যুপ এবং গ্রেভি ফুটিয়ে নিন।
৭. সব সময় পচনশীল জিনিস যেমন দুধ এবং দই ফ্রিজে রাখুন।
৮. তাজা এবং স্থানীয় খাদ্য পণ্য ব্যবহার করুন। টাটকা খাবার বেশি পুষ্টিকর।
৯. আপনার খাদ্যতালিকায় মরিচ, রসুন, আদা, জিরা, ধনিয়া এবং হলুদ যোগ করুন। এগুলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং বর্ষার রোগ এড়াতে কাজ করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১