৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:শুক্রবার, ১২ জুলা ২০২৪ ১০:০৭
জীবনযাত্রা ডেস্ক: বৃষ্টির দিনে একখানা ছাতাই হয়তো আপনার জন্য যথেষ্ট। মাথায় দিয়ে অবলীলায় বেরিয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু অমন একখানা বাড়তি জিনিস বহন করাটাই শিশুর জন্য মুশকিল। ছাতা খোলা বা বন্ধ করাটাও শিশুর জন্য কষ্টকর। সঙ্গে অভিভাবক থাকলেও তিনি ছাতা খুলে বা বন্ধ করে দিতে দিতে ভিজে যেতে পারে শিশু। ছাতা ঠিকঠাক ধরে রাখার পরও বৃষ্টির ছাঁটে ভিজে যেতে পারে শিশু। তার চেয়ে বর্ষাতি বা রেইনকোট শিশুর জন্য অনেক সহজ। আর সেটা যদি হয় বাহারি, তাহলে অনুষঙ্গ হিসেবেও শিশুর কাছে আকর্ষণীয়।
যেমন পছন্দ
কিডস অ্যান্ড মমসের বনানী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক সোহরাব শেখ জানালেন, তাঁদের বর্ষাতিতে শিশুদের পছন্দের অ্যানিমেশন চরিত্রের নকশা রয়েছে। বারবি, রাজকন্যা, স্পাইডারম্যান কিংবা ব্যাটম্যানের মতো চরিত্রের মধ্যে থেকে শিশুর জন্য বেছে নিতে পারেন তার পছন্দের রেইনকোট। বাজারে এমন বর্ষাতিও পাবেন, যেটির মাথার অংশটা হাঁস, ব্যাঙ কিংবা খরগোশের মাথার মতো। এমনকি তাতে চোখ, মুখ, কানও জুড়ে দেওয়া থাকতে পারে। বৃষ্টির পানি থেকে কেবল শিশুকে বাঁচালেই তো চলবে না, বাঁচাতে হবে তার বই-খাতা-পেনসিলও। সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে স্কুলব্যাগ বহন করার সুবিধাও রাখা হয়েছে কোনো কোনো রেইনকোটে। শিশুর জন্য চাইলে এ ধরনের বর্ষাতিও বেছে নিতে পারেন।
ধূসর মেঘলা দিনে রঙিন বর্ষাতি
ঢাকার সাত মসজিদ রোডের মাম অ্যান্ড লিটল ওয়ানসের ক্যাশিয়ার নাবিলা আক্তার জানালেন, শিশুদের জন্য রঙিন বর্ষাতি রয়েছে তাঁদের সংগ্রহে। নরম প্লাস্টিকজাতীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয় নীল, গোলাপি, হলুদ বর্ষাতি, যা শিশুর জন্য আরামদায়ক। কার্টুন চরিত্র ছাড়াও বর্ষাতির নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে ফুলের মোটিফ। কোনোটি আবার একরঙা। দেশের বাইরে থেকে বর্ষাতি আনা হয় বলে জানালেন তিনি। ধূসর, মেঘলা দিনে শিশুর দিনটা রঙিন করে তুলতে পারে এমন বর্ষাতি।
বর্ষাতির ধরনধারন
বর্ষাতির উপকরণেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে বুঝতেই পারছেন, সব বর্ষাতির উপকরণই এমন হতে হবে, যেন তা পানি শোষণ না করে। অর্থাৎ, এর ওপর দিয়ে পানি যেন গড়িয়ে পড়ে যায়। আরও কিছু বিষয় দেখে নিতে হয় বর্ষাতি কেনার সময়। পুরুত্বের বিষয়টাই যেমন। খুব পাতলা বর্ষাতিতে শিশু উষ্ণতা পাবে না। এক পরতের স্বচ্ছ বর্ষাতিগুলো এমনই পাতলা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় বৃষ্টিতে থাকলে বর্ষাতি পরা অবস্থাতেও শিশু ঠান্ডা বোধ করতে পারে। তাই লম্বা সময় ধরে বৃষ্টিতে থাকার সম্ভাবনা থাকলে একটু পুরু বর্ষাতি বেছে নেওয়া ভালো।
খেয়াল রাখুন এসব বিষয়
মানসম্মত বর্ষাতির দাম একটু বেশি হলেও তা টেকসই হয়। ওজনের দিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। খুব ভারী বর্ষাতি শিশুর জন্য অস্বস্তিকর। বাসা থেকে স্কুলের দূরত্ব, বৃষ্টির দিনে শিশুর যাতায়াতের ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয় খেয়াল রাখুন বর্ষাতি কেনার সময়। অর্থাৎ, গড়ে কতটা সময়ের জন্য শিশুর বর্ষাতি পরে থাকতে পারে, তা ভেবে দেখতে হবে। সেই অনুযায়ী বেছে নিতে হবে বর্ষাতির ধরন। তবে অবশ্যই এমন বর্ষাতি বেছে নিন, যা শিশুর জন্য আরামদায়ক। শিশুর জন্য নেওয়া বর্ষাতিটি পরা এবং খোলার পদ্ধতিও যাতে ঝঞ্ঝাটের না হয়। চেইন বা বোতামজাতীয় যা কিছুই থাকুক, তা শিশু স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারবে কি না, দেখে নিন। ইলাস্টিকযুক্ত বর্ষাতিও বেছে নিতে পারেন। আকারটাও বুঝেশুনে বাছাই করুন। বর্ষাতি যত লম্বা হবে, শিশুর শরীরের ততটা অংশই বাঁচবে বৃষ্টির ছাঁট থেকে। তবে শিশুর উচ্চতার তুলনায় বর্ষাতি অতিরিক্ত লম্বা হলে আবার পা বেঁধে যেতে পারে হাঁটার সময়। অতিরিক্ত আঁটসাঁট বর্ষাতি যেমন শিশুর জন্য অস্বস্তিকর, তেমনি অতিরিক্ত ঢিলেঢালা বর্ষাতির ফাঁক গলে আবার পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা।
দরদাম
বাজার ঘুরে কিংবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফরমাশ করে কিনতে পারেন ৪ থেকে ১৩ বয়সী শিশুর উপযোগী বর্ষাতি। মানভেদে ৩৯৯ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৪০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন পছন্দসই বর্ষাতি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১