বাংলাদেশ সীমান্তে ফের বাড়ছে রোহিঙ্গাদের ভিড়

প্রকাশিত:সোমবার, ১২ আগ ২০২৪ ০৪:০৮

বাংলাদেশ সীমান্তে ফের বাড়ছে রোহিঙ্গাদের ভিড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মিয়ানমারের মংডু সীমান্তে হাজার হাজার রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছেন। দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম এই গোষ্ঠীর কমপক্ষে ২০ হাজার সদস্য সীমান্তে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বেশ কিছু লাশ নাফ নদী ধরে বাংলাদেশে ভেসে এসেছে। টেকনাফের একজন এনজিও কর্মী বাংলাদেশে কিছু লাশ দাফনের দাবি করেছেন। সেখানকার একজন রোহিঙ্গা বলেছেন, ড্রোন হামলায় মংডু এলাকায় তার ৯ জন আত্মীয় নিহত হয়েছেন। আর আহত চারজন বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা ও টহল বাড়িয়েছে বিজিবি। অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের মংডুতে ড্রোন হামলা ও গুলি ছোড়া হয়। আরাকান আর্মি এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে কমপক্ষে ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। তবে গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত অর্ধশত লাশ বাংলাদেশে ভেসে আসার খবর দিয়েছে। টেকনাফ এলাকার এনজিও কর্মী মাহবুব আলম মিনার বলেছেন, ‘‘আমার তত্ত্বাবধানেই ১৭০ জন রোহিঙ্গার লাশ আমরা এখানে দাফন করেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাফন করা হয়েছে শাহপরীর দ্বীপে বড় মাদ্রাসা মসজিদের কবরস্থানে, সেখানে ৫৫টি লাশ দাফন করা হয়েছে।’’

তিনি দাবি করেন, ‘‘আমি যে তথ্য পেয়েছি তাতে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের ওই পাড়ে কমপক্ষে সাত থেকে ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।’’

টেকনাফ এলাকার এক ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুন নূর বলেন, ‘‘ড্রোন হামলা ও গুলিতে আমাদের পরিবারের চারজনসহ আমার পরিচিত মোট ৯ জন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। আহত অবস্থায় পালিয়ে আসতে পেরেছেন চারজন। তাদের মধ্যে আমার বোন ও তার ছেলে-মেয়েরা আছে। তাদের বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’

তিনি দাবি করেন, ‘‘আমি যে তথ্য পেয়েছি তাতে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের ওই পাড়ে কমপক্ষে সাত থেকে ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।’’

টেকনাফ এলাকার এক ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুন নূর বলেন, ‘‘ড্রোন হামলা ও গুলিতে আমাদের পরিবারের চারজনসহ আমার পরিচিত মোট ৯ জন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। আহত অবস্থায় পালিয়ে আসতে পেরেছেন চারজন। তাদের মধ্যে আমার বোন ও তার ছেলে-মেয়েরা আছে। তাদের বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’