১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:শুক্রবার, ১৬ আগ ২০২৪ ০৫:০৮
সবজির দাম কেমন— এমন প্রশ্ন করতেই রাজধানীর রামপুরা এলাকার সবজি বিক্রেতা কুরবান আলী জানান, শিক্ষার্থীরা এখন নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে আসে, দরদাম জানতে চায়। এছাড়া বেশি দামে যেন সবজি বিক্রি করা না হয় সে বিষয়ে তাগাদা দিয়ে যায়। পাশাপাশি এখন কারওয়ান বাজার থেকে স্থানীয় বাজারের কোথাও চাঁদা দিতে হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত মাসের তুলনায় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। তবে ২-৩ আইটেমের সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ২২০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া যেসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি সেই তালিকায় আছে করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৮০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৭০, টমেটো ১৫০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা এবং কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী তৌহিদুল ইসলাম। বাজারে সবজির দরদাম বিষয়ে তিনি বলেন, গত মাসের তুলনায় বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কমেছে। কিছুদিন আগেও বাজারে কোনো সবজি ৮০ টাকার নিচে ছিল না, এখন সেগুলো কমে ৩০ টাকা ৪০ টাকা, ৫০ টাকা, ৬০ টাকার মধ্যে এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু সবজির দাম ৮০ টাকার ঘরে আছে। আর যে সবজির এখন মৌসুম না সেগুলো ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে বলা যায় আগের তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
আসলেই কী সবজির দাম কমেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে এ কথা ঠিক। এর মূল কারণ হলো পথে পথে যে সবজি পরিবহনের চাঁদাবাজি ছিল, কারণ বাজারেও বিভিন্ন জায়গায় যে টাকা দিতে হতো সেগুলো এখন দিতে হচ্ছে না। যে কারণে এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে সবজির বাজারে। এজন্যই সবজি বিক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে সবজি বিক্রি করতে পারছেন। এছাড়া এলাকাভিত্তিক স্থানীয় বাজারগুলোতে শিক্ষার্থীরা এসে বাজার মনিটরিং করছে। সবমিলিয়ে আগের তুলনায় সবজির দাম বাজারে কমেছে।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ভ্যান গাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেন সোহেল আহমেদ। তিনি বলেন, আগে রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়ি দিয়ে সবজি বিক্রি করতে হলে প্রতিদিন লাইন ম্যানকে দিতে হতো এলাকা ভেদে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে লাইনম্যানকে এই টাকা দিতে হচ্ছে না। এছাড়া যখন পাইকারি কারওয়ান বাজার থেকে মাল কিনে নিয়ে আসা হয় তখন কারওয়ান বাজার থেকে শুরু করে গাড়িতে করে রাস্তা দিয়ে আসার সময়ও বিভিন্ন জায়গায় চাঁদার টাকা দিতে হতো, এগুলো এখন দিতে হচ্ছে না। যে কারণে আগের তুলনায় কম দামে সবজি বিক্রি করা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখন প্রতিটি এলাকায় বাজারে সবজির দোকানে শিক্ষার্থীরা মাঝে মাঝে এসে মনিটরিং করছে। এসব কারণে বাজারে আগের তুলনায় সবজির দাম কমেছে। তবে কিছু কিছু সবজির এখন মৌসুম না, সেসব সবজিগুলো বাজারে সরবরাহ একেবারেই কম। যে কারণে নির্দিষ্ট কিছু সবজির দাম কিছুটা বাড়তি চাচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১