বিএনপি-জামায়াত দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে

প্রকাশিত:শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ০১:০৫

বিএনপি-জামায়াত দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে

নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে কেআইবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ মকবুল হোসেনের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্মরণ সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লড়াই কিন্তু আমাদের শেষ হয়ে যায়নি। আমরা ধনী গরিবের বৈষম্য কমিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। আমাদেরকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য যারা দায়ী তাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান নিতে হবে। এরা দেশের শত্রু। যারা মূল্য বৃদ্ধি করে ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দেয় তাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান থেকে নজর রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য যখন বৃদ্ধি পায় তখন সরকার উদ্বিগ্ন হয়। তখন আমরা দেখি একটি রাজনৈতিক দল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। দাম আরো বৃদ্ধি করার জন্য তারা নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালায়। তারা বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সুবিধা নেওয়ার জন্য সহযোগিতা করে। এরা কখনো দেশের মানুষের ভালো চায় না।

নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকেই লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ ঘুরে দাঁড়ানোর নায়ক হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক থেকে অভিন্ন হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই আদর্শের বন্ধনকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না। আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ও দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের বাহিরে ও দেশের ভিতরে থেকে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদের ষড়যন্ত্র সব সময় থাকবে। আমাদেরকে সজাগ থেকে এদের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। যারা দেশের মানুষ ও দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাদের হাত থেকে আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।

হাজী মকবুল হোসেনের জীবন ও কর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক মকবুল হোসেন মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি সবসময় উদ্যোগী ও সাহসী মানুষ ছিলেন। তিনি কখন হতাশ হতেন না। কখনও তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তার সফল কর্মময় জীবন এবং জাতির পিতার আদর্শের প্রতি অকৃত্রিম আস্থাই তাকে মানুষের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখবে।

স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ মকবুল হোসেনের ছেলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান স্বপন, আনোয়ারুল আজিম সাদেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, কৃষিবিদ আ ফ ম মাহবুবুল হাসান, শহজালাল মুকুল, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হল আজিজ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ অনেকে।