৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ৩০ আগ ২০১৮ ১২:০৮
নিজেস্ব প্রতিবেদক: গত মঙ্গলবার সকালে বিয়ানী বাজার উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের লাসাইতলায় পতিত ডোবা থেকে এক তরুণীর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিজিবি ক্যাম্পের মাত্র একশত মিটারের মধ্যে পাওয়া এই লাশ উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে সঙ্গবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ভিকটিমকে। বিয়ানী বাজার থানা পুলিশের মাধ্যমে জানা গেছে নিহত তরুণী উর্মি বেগম উপজেলার নয়াগ্রাম নিবাসী মৃত জয়নুর রহমানের মেয়ে। নিহতের মা আয়শা বেগম লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে বিয়ানী বাজারের মহিলা ব্যবসায়ী জান্নাত নকশি কাথাঁর সত্বাধিকারী, নিহত উর্মি বেগমের ঘনিষ্ট বান্ধবী জান্নাতুল আনসারীকে তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন । আয়শা বেগমের দাবি, তার মেয়ে জান্নাত নকশি কাঁথায় কাজ করতো। কিছুদিন থেকে উর্মি বেগম খুবই এলোমেলো আর বিপর্যস্ত ছিলেন, তিনি বেশিদিন এই প্রতিষ্টানে কাজ করতে পারবেন না বলেও তার মাকে জানিয়েছিলেন। আয়শা বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন যে সম্ভবত তার মেয়েকে জান্নাতুল আনসারী কোন অবৈধ কাজ করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন আর সেটাতে সে রাজি না হওয়ার কারণে তার আজ এই পরিণতি। সাধারণত কাজ শেষে সন্ধ্যার সাথে সাথে উর্মি বাসায় ফিরলেও সোমবার রাট দশটা পর্যন্ত উর্মি বাড়িতে না ফিরলে তার উদ্বিগ্ন মা জান্নাতুল আনসারীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন কিন্তু তার মোবাইল তখন বন্ধ ছিল। বাধ্য হয়ে তিনি তখন জান্নাতুল আনসারীর বাড়িতে যান তখন তার মা বাবা জানান সে বাড়িতে নাই,সিলেট আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে। অথচ উর্মি বেগমের মায়ের দাবি তিনি খবর নিয়ে জেনেছেন সোমবার পুরো দিন জান্নাতুল আনসারী উর্মিদের সাথে তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে ছিলেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে জান্নাত নকশি কাঁথা নামের প্রতিষ্টানটির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে কর্মসংস্থানের কথা বলে মেয়েদেরকে অবৈধ কাজে বাধ্য করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উর্মি বেগমের লাশ পাওয়ার পরপরই এই প্রতিষ্টানটি বন্ধ ও তার মালিককে গ্রেফতারের দাবিতে বিয়ানী বাজারে মানব বন্দন করেছেন আলেম সমাজের একটি অংশ। নারী ক্ষমতায়ন বা সক্ষম সাবলম্বী নারী গড়ে তুলার শ্লোগানে প্রতিষ্টিত জান্নাত নকশি কাঁথার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ থাকলেও মানুষ হত্যার মতো কাজ জান্নাতুল আনসারী করতে পারেন বলে বিশ্বাস করে না এলাকার মানুষ। একজন নারী হয়ে নারীকে ধর্ষণ করে হত্যা করানোয় আসলেই কি তার ভূমিকা আছে তা তদন্ত করে আসল আসামিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি এলাকার মানুষের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১