পুঁজিবাজার ক্ষতি করার বড় দায় বিএসইসির : আবু আহমেদ

প্রকাশিত:বুধবার, ২১ আগ ২০২৪ ০২:০৮

পুঁজিবাজার ক্ষতি করার বড় দায় বিএসইসির : আবু আহমেদ

অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অলিগার্কদের তৈরি ও তাদের প্রশ্রয় দিয়ে ভূমিকা রেখেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। সেই সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড ও পুঁজিবাজারকে ক্ষতি করার পেছনে বড় দায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত নিজস্ব কার্যালয়ে বেলা ১১টায় পুঁজিবাজারভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সিএমজেএফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন রেজওয়ান, সাবেক অর্থ সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ, আব্দুল হাকিম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবু আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এদের প্রশ্রয় দিয়ে তৈরি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংক ভূমিকা রেখেছে তাদের পক্ষে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে পারেনি বিএসইসি। ফান্ড ম্যানেজার টাকা পয়সা নিয়ে ভেগে যায় কীভাবে? এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাই বড় দায়ী। মিউচুয়্যাল ফান্ড ও পুঁজিবাজারকে ক্ষতি করার পেছনে বড় দায় বিএসইসির।

ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংকে লুট হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা লুট করেছে তাদের শাস্তি দিতে হবে। না হলে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরবে না। বড় বড় কোম্পানির মালিকরা এ লুটপাট করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে পারলো ব্যাংক দখল করার সুযোগ দিতে? ব্যাংকে বড় ঋণ কেলেঙ্কারি কীভাবে হয়। এটা দেখার দায়িত্ব তো তাদের।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার কারণেই দেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির ৯০ শতাংশই অল্প কয়েক জনের দখলে চলে গেছে মন্তব্য করে আবু আহমেদ বলেন, এভাবে অর্থনীতি চালালে তো সাধারণ মানুষের দুর্দশা হবেই। সাধারণ মানুষরা ভোগান্তিতে থাকবেই।