৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জুন, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ২২ আগ ২০২৪ ০৩:০৮
গোপালগঞ্জে সেনা টহল দলের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজমসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ ১০৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে ইস্ট বেঙ্গল, যশোর সেনানিবাস এবং গোপালগঞ্জ জেলার অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা করেন। গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে গত ১০ আগস্ট বিকেল ৫টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। পরে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। খবর পেয়ে মেজর মো. আকিকুর রহমান রুশাদের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জে কর্তব্যরত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক ছেড়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বলেন। এতে আন্দোলনকারীরা সেনাসদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হামলায় সেনাবাহিনীর চার কর্মকর্তাসহ ৯ জন আহত হন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর দুইটি অস্ত্র, একটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
মামলার বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১