৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ২৭ আগ ২০২৪ ১১:০৮
‘কীয়ের লাইগা আইসত তুই বাবাগো! কীয়ের লাইগা আইলি!’ পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানার সামনে এভাবেই বিলাপ করে বসে বসে কাঁদছিলেন কুলসুম বেগম। ছেলের খোঁজে সারারাত কারখানার সামনেই ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে কারখানাটির সামনে ও ভেতরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের ছোটাছুটি করতে দেখা যায়৷ অনেকের হাতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রও ছিল৷ দিনভর নিখোঁজ সদস্যদের খবর না পেয়ে রাতেও সেখানে অপেক্ষা করেছেন তারা৷
কান্না ভরা চোখে কুলসুম বেগম বলেন, ‘হারা রাইতওই এনো রইসি। মাইনষে কয় মেডিকেলে দেখতে। এমন কোনো মেডিকেল বাদ নাই। সব মেডিকেল বিছারছি, ঢাকাও বাদ দেই নাই। সমস্ত জায়গায় আমি বিছারছি। কেউ কয় না আমার পোলা কই। আমি মইরা যামুগা।’
ছেলে হারানোর শোকে মাটিতে গড়াগড়ি করেছেন তিনি। বারবার সবাইকে মোবাইলে তার ছেলে ছবি দেখাচ্ছিলেন। নিজেও বারবার ছেলের ছবির দিকে তাকিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন।
আগুনের ভয়াবহতা ও স্বজনদের আর্তনাদ আর আহাজারিতে কেঁপে উঠছে রূপগঞ্জ। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে গাজী টায়ার কারখানার প্রধান গেইটে ভিড় জমাতে থাকেন নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় গাজী টায়ার কারখানার ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ২১ ঘণ্টা পর সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট সেখানে কাজ করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১