২৭ মাস পর লিটনের ব্যাটে সেঞ্চুরি, যা বললেন স্ত্রী সঞ্চিতা

প্রকাশিত:রবিবার, ০১ সেপ্টে ২০২৪ ১২:০৯

২৭ মাস পর লিটনের ব্যাটে সেঞ্চুরি, যা বললেন স্ত্রী সঞ্চিতা

রাওয়ালপিন্ডি সাক্ষী হলো ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য এক গল্পের। হার না মানা এক লড়াকুর লড়াইয়ের। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দুঃস্বপ্নের মতো শুরুর পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রেকর্ড জুটি গড়েন লিটন দাস। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে মিরাজ ফিরে গেলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

২৭ মাসের বেশি সময় পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন। ২০২২ সালের মে মাসে সর্বশেষ লঙ্কানদের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়েছিলেন। ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১৭১ বলে রাওয়ালপিন্ডিতে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন লিটন। ৪৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি।

লিটনের ব্যাটে সেঞ্চুরির হাসি ফুটতেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেন তার স্ত্রী দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতা। সেখানে মেয়ের সঙ্গে লিটনের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, অভিনন্দন আনায়রার বাবা। আমরা তোমাকে ভালোবাসি।

ক্যারিয়ারে খারাপ সময়ের মুখোমুখি অনেকবারই হতে হয়েছে লিটনকে। সবসময় স্বামীর পাশে ছায়া হয়ে ছিলেন তার স্ত্রী সঞ্চিতা। টাইগার উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার নিজেও জানিয়েছেন সে কথা।

২৬ রানে দলের ৫ উইকেট পতনের পর ক্রিজে এসেছিলেন লিটন। দলের সামনে তখন নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার ভয়। সেখান থেকে লিটন খেললেন দারুণ এক ইনিংস। প্রথমে মিরাজকে নিয়ে দলের ওপর থাকা চাপ দূর করেছেন। পার করেছেন ফলো-অন। এরপর দলের স্কোরকে দিয়েছেন সম্মানজনক অবস্থান।

লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। ৭৮ রান করে ফিরে গেলেও দলকে দেখিয়েছেন পথ। লিটন মাঝে ক্র্যাম্পে পড়লেও ঠিকই উঠে দাঁড়িয়ে খেলেছেন। পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কক্ষপথে আছে তার ওই দারুণ শতকের সুবাদেই।

এই প্রতিবেদন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ২৩৭ রান। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ৩৭ রানে। এদিনের সেঞ্চুরিতে এক ভিন্ন রকমের রেকর্ডেও নাম উঠেছে লিটনের। ৫০ রানের আগে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নেমে তিনবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন। এমন কীর্তি নেই আর কারোরই।

এছাড়া মিরাজের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটিতে বিশ্বরেকর্ডও করেছেন লিটন কুমার দাস। এর আগে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ১১৫ রানের। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর সপ্তম উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল।