৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ০২:০৫
নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে আগামী ৪ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনের আগে অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান ঢলের এই পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বিপজ্জনক ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডের দক্ষিণের সমুদ্র সৈকতে পৌঁছানো আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা ১০ হাজার ১৭০ জনে পৌঁছেছে। যা গত বছরের একই সময়ের ৭ হাজার ৩৯৫ জনের তুলনায় অনেক বেশি।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘আমরা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে ও জীবন বাঁচাতে আমাদের ফরাসি অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’’
আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ব্রিটেনে অবৈধভাবে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের নির্বাচনের আগে রুয়ান্ডায় পাঠানো হবে না। দেশটিতে অবৈধ আশ্রয়প্রার্থীদের ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নীতির বিরোধিতা করলেও নির্বাচনের আগে সুনাকের এমন অবস্থানে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিষয়ে কনজারভেটিভ পার্টির সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি বাধার কারণে আটকে আছে। নির্বাচনে জয়ী হলে এই নীতি বাতিল করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
লেবার পার্টির অভিবাসনবিষয়ক ছায়া মন্ত্রী স্টিফেন কিনক বলেছেন, এই সমস্যা মোকাবিলায় সুনাকের সরকার পর্যাপ্ত কাজ করেনি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সরকারের সমস্ত প্রচেষ্টা এখন কয়েকশ মানুষকে রুয়ান্ডায় নিয়ে যাওয়ার দিকে। প্রতি মাসে হাজার হাজার মানুষ চ্যানেল অতিক্রম করলেও তাদের দেখছে না সরকার।
লেবার পার্টি বলেছে, এবারের নির্বাচনে জয়ী হলে তারা পুলিশ, দেশীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রসিকিউটরদের সমন্বয়ে একটি বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ড গঠন করবে। যাতে এই কমান্ড মানবপাচার বন্ধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১