ঢাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, কর্মচারীকে বদলি

প্রকাশিত:বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ ০৩:০৫

ঢাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, কর্মচারীকে বদলি

নিউজ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের (সার্টিফিকেট শাখা) সিনিয়র অফিস সহায়ক মো. আমির হোসেনকে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহলুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে সাত কলেজের স্ক্রিপ্ট শাখায় বদলি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে নিম্নে উল্লিখিত কর্মচারীদের দায়িত্ব/শাখা নিম্নোক্তভাবে পুনর্বণ্টন করা হলো। এই আদেশ ২৯/০৫/২০২৪ ইং তারিখ থেকে কার্যকর হবে। সিনিয়র অফিস সহায়ক জনাব আমির হোসেন সার্টিফিকেট শাখা, ৩০৯ এর পরিবর্তে স্ক্রিপ্ট শাখা (৭ কলেজ) ৩৪৯ এ দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে, স্ক্রিপ্ট শাখায় কর্মরত ইসমাইল হোসেন সার্টিফিকেট শাখায় দায়িত্ব পালন করবেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি আজ দুপুরে এক বড় ভাইয়ের সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য হল ও ব্যাংকের সকল কাজ সম্পন্ন করে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ৩০৯ নং কক্ষে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিই। জমা নেন দায়িত্বরত কর্মচারী আমির হোসেন। ওই সময় দেখতে পেলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি রূঢ়ভাবে কথা বলছেন। আমি আমার ফাইলটা জমা দেওয়ার পর তার কাছে দুটি তথ্য জানতে চাই। কবে বা কখন আসলে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারব এবং আর্জেন্ট উত্তোলনের জন্য কী করতে পারি। এই দুটি প্রশ্নের উত্তর তিনি উচ্চস্বরে, অসৌজন্যমূলকভাবে এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্যের স্বরে কথা বলেন।

তিনি বলেন, তখন আমি তাকে বলি, শিক্ষার্থীদের সেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে রেখেছে, আপনার কেন এমন আচরণ থাকবে? এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান এবং আরও উগ্র আচরণ করতে থাকেন। এসময় ওই অফিসে খণ্ডকালীন চাকরিতে নিয়োজিত টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের (জগন্নাথ হল) শঞ্জু নামে এক শিক্ষার্থীও ওই কর্মচারীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অসদাচরণ করতে থাকেন। এরপর আমি ক্যাম্পাস সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিলে তারা চুপ হয়ে যান। এক পর্যায়ে শঞ্জু আমার কাছে এসে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবগত করলে তারা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে ডিউটির জায়গা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের অফিসসমূহের কাজই হলো শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়া। শিক্ষার্থীদের জন্যই আমরা। এখানকার কেউ শিক্ষার্থীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারে না। আমরা একটি মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার অফিস পরিবর্তন করে দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা অসদাচরণ করবে সেটা আমি কখনোই মানতে পারি না। কারণ, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। যিনি এমন কাজ করেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যেন ভবিষ্যতে আর এ রকম না হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ