৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ ০৩:০৫
নিউজ ডেস্ক: এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ঘোষণা করে পশ্চিম ইউরোপের ওই তিন দেশ। আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন বলেছে, তাদের এমন সিদ্ধান্তের শক্তিশালী প্রতীকী প্রভাব রয়েছে। যা অন্যান্যদের একই সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহ জোগাবে। যদিও তিন দেশের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। তেল আবিব বলেছে, যুদ্ধের মাঝে ইউরোপীয় তিন দেশের এমন সিদ্ধান্ত হামাসের জন্য পুরস্কার।
বুধবার স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেসের সাথে মাদ্রিদে বৈঠক করেন সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার, তুরস্ক এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ‘‘অত্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন এক সময়ে আশা দেওয়ার জন্য স্পেনকে ধন্যবাদ জানাতে আমরা এখানে এসেছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ইতিহাসের ডান প্রান্তে অবস্থান ও ন্যায়ের পক্ষে থাকার জন্য স্পেন, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে এখানে এসেছি।’’
স্লোভেনিয়ার সরকার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে চলতি মাসে একটি ডিক্রি পাস করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদে পাঠানো হবে এই ডিক্রি। পরে এর ওপর সংসদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সম্মতিতে শিগগিরই ডিক্রিটি আইনে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেসের সঙ্গে আলোচনার আগে আরব দেশগুলোর মন্ত্রীরা বুধবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলবারেস বলেছেন, আরও বেশি ইউরোপীয় দেশ যাতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় সেজন্য স্পেন কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমাদের আরব অংশীদার ও বন্ধুদের সাথে আরব দেশ ও ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়েও স্পেন কাজ অব্যাহত রাখবে।
গাজায় প্রতিনিয়িত ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝড়ছে। আর এই রক্তপাতই ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্রের দাবিকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলছে। মঙ্গলবার ইউরোপের তিন দেশের পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা ১৪৫টিতে দাঁড়িয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামলা চালায় গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের শত শত যোদ্ধা। ওই দিন ইসরায়েলে এক হাজার ১৭০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাসের সদস্যরা। একই সঙ্গে আরও ২৫২ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে হামাস; যাদের মধ্যে এখনও ১২১ জন গাজায় জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ৩৭ জন মারা গেছেন।
পরে ওই দিনই গাজা উপত্যকায় ব্যাপক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।
স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে বলেছে, তারা ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা বহাল রেখে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে। পাশাপাশি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন— উভয়ের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে মানবে তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১