মুস্তাফিজদের নেতৃত্ব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানালেন গায়কোয়াড়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ১১:০৫

মুস্তাফিজদের নেতৃত্ব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানালেন গায়কোয়াড়

নিউজ ডেস্ক: ম্যাচে তরুণ ক্রিকেটারদের পরিচালনা করার দায়ভার তো ছিলই, একইসঙ্গে ছিল ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা এবং অজিঙ্কা রাহানের মতো অভিজ্ঞদের সামনে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব। সেই কাজে গায়কোয়াড় অনেককেই মুগ্ধ করেছেন। তার মধ্যে ভালো নেতা হওয়ার গুণও খুঁজে পেয়েছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। নেতৃত্ব পাওয়ার পরের অনুভূতি জানিয়ে রুতুরাজের ভাষ্য– এটি তার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে অভিজ্ঞদের থেকে তিনি পরামর্শও পেয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেন্নাই দলপতি বলেছেন, ‘আমি (টুর্নামেন্টের) শুরু থেকেই ভালো অনুভব করেছি। যখনই প্রয়োজন হয়, তখনই আমি সব সতীর্থের কাছে খুব সাহায্য পাই এবং দলের প্রয়োজনে তারা সব সময়ে আমাকে সমর্থন করে। আমি বলব না যে, এটা খুব কঠিন কাজ ছিল। কারণ ওরা সবাই বিষয়টি বুঝত। সব সিনিয়র খেলোয়াড়, যারা দলের অংশ ছিল, তাদের সঙ্গে কাজ করাটা দারুণ অভিজ্ঞতা। ওদের অভিজ্ঞতা সব সময়ে ম্যাচের যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহায্য করে।’

ভারত জাতীয় দল কিংবা আইপিএল– ধোনিকে সবসময়ই মাঠে দল পরিচালনায় শান্ত ও সংযমী দেখা যেত। যে কারণে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হয়ে উঠেছেন তিনি। তার মতো রুতুরাজকেও একই রকম শান্ত এবং সংযমী মেজাজে দেখা গেছে এবারের আইপিএলে। এ নিয়ে তিনি জানান, ‘নিরপেক্ষ থাকাটা’ তিনি ধোনির কাছ থেকে শিখেছেন, যে কারণে জিতলেও তিনি খুব বেশি উত্তেজিত হন না বা হেরে গেলেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান না।

রুতুরাজের দাবি— ‘নিরপেক্ষ থাকাটা এমন একটা বিষয়, যা আমি মাহি ভাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি। কোনো কিছু নিয়ে খুব বেশি উত্তেজিত না হওয়া বা কোনো কিছুর জন্য হতাশ না হওয়াটাই সঠিক পদ্ধতি। অধিনায়ক থাকা বা না থাকাটা ব্যাটিং করার সময়ে প্রভাব ফেলে না। কারণ তখন আমার দৃষ্টিভঙ্গি সব সময়েই একই রকম থাকে। খুব বেশি পরিবর্তন হয় না। আগে থেকে নেতা হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়। তাই দলের ভালো খেলোয়াড় হওয়া এবং দলকে সবার আগে রাখাটাই দরকার।’

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে বেশ এগিয়ে ছিল চেন্নাই। যদিও ১৪ ম্যাচে ৭ ম্যাচ জেতা এই সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঁচ নম্বরে থেকে আসর শেষ করে। দল কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পেলেও, ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন রুতুরাজ। আসর শেষেও তিনি রান সংগ্রহে ছিলেন ‍দুই নম্বরে। শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলি ৭৪১ এবং রুতুরাজ করেন ৫৮৩ রান।