গাউছুল আজম দরবারে ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ১৫ অক্টো ২০২৪ ০৩:১০

গাউছুল আজম দরবারে ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল

যুগে যুগে মানবজাতি যতবারই অন্ধকারে নিপতিত হয়েছে ততবারই মহান আল্লাহ দয়া মেহেরবানি করে পথপ্রদর্শক প্রেরণ করেছেন। ছৈয়্যদুল মুরসালিন হুজুর পাক (দ.) ধরার বুকে এসে আইয়্যামে জাহেলিয়তকে আলোময় যুগে পরিণত করেছেন। নবীজির দেখানো পথ ধরে আউলিয়ায়ে কেরামরা সেই হেদায়াতময় কাজের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ধরার বুকে এসেছেন মাহবুবে ছোবহানি, কুতুবে রাব্বানি, গাউছুল আজম হযরত শায়খ ছৈয়্যদ আব্দুল কাদের জিলানী (রা.) এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)। যুগের অন্ধকারময় পরিস্থিতিতে সব অনাচার ও অপসংস্কৃতিকে দূরীভূত করে এমনভাবে সংস্কার করেছেন যা মানবজাতিকে এনে দিয়েছে হিংসার পরিবর্তে মানবতা, নিষ্ঠুরতার পরিবর্তে মহানুভবতা, পাপাচারের পরিবর্তে আল্লাহভীরুতা, অহংকারের পরিবর্তে বিনয় ও নম্রতা।

মানুষ যে মহান উদ্দেশ্যে সৃষ্ট তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.) আজীবন নিরলস শ্রম ও ত্যাগের বেনজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উনার রেখে যাওয়া তরিক্বতে এসে বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে রাসুলপ্রেমের যে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তা অভূতপূর্ব। যে যুগে মানুষ হালাল হারাম পৃথক করে চলাই ভীষণ কষ্টকর সেই যুগে প্রতিদিন এগারোশত এগারোবার দরূদ শরীফ পড়া, ক্বাজা হয়ে গেলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আদায় করা, মোরাকাবা, ফয়েজে কুরআনের অমিয় নিয়ামত গ্রহণ করে পথহারা মানুষ সিরাতুল মোস্তাকিমের সন্ধান পাচ্ছে। এ পথে এমন নিয়ামত রয়েছে যা আহরণ করতে গেলেই জ্ঞানীরা বুঝতে পারেন এখানে নেই বিন্দু পরিমাণ শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ড, নেই শিরক বিদআতের সামান্য পরিমাণ চর্চা।

শরীয়তকে পরিপূর্ণ আদায় করে মারেফতের জ্ঞান অন্বেষণে এমন যুগান্তকারী তরিক্বত ইতিহাসেই বিরল। অশান্ত বিশ্বে এই তরিক্বত যতই বিস্তৃত হবে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ততই বর্ষিত হবে যা সাধারণ মানুষকে আলোকিত মানুষ তথা ইনসানে কামেলে পরিণত করবে। যুগের শ্রেষ্ঠ অলিরাই গাউছিয়্যতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন। শেষ যুগে এসে কাগতিয়ার পুণ্যভূমিতে এসে এমন একজন মহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটলো যার ছোঁয়ায় এবং ছায়ায় দিশেহারা মানুষ পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত মুক্তির পরম সৌভাগ্য।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাদে জোহর থেকে চট্টগ্রাম রাউজান কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত ৭১তম পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মিল্লাতের উদ্দেশ্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এসব কথা বলেন।

এতে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী ও মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সবুর।

মিলাদ কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।